শিরোনাম: |
"রেজিস্টারের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল জবি, কুশপুত্তলিকা দাহে মুখর ক্যাম্পাস"
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এর পর রেজিস্টার ভবনের সামনে রেজিস্টারের কুষ্পুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা এ সময় ‘রেজিস্টারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘দালালদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবেনা’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্টার গদি ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রার সাহেব অনেক সময়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করে থাকেন। আমার সঙ্গে করেছেন একদিন। অবস্থাটা এমন ছিল, ভিসি স্যার ওই রুমে না থাকলে উনি গায়েও হাত তুলতে পারতো। এ রকম উগ্র লোক প্রশাসনিক দায়িত্ব কীভাবে সামলাচ্ছেন জানি না। অতি দ্রুত উনাকে এই জায়গা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।’ গত মঙ্গলবার (২৩ তারিখ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে শহিদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যায় ইভান তাহসিভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সকল চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরই তিনি এর সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তাদের রুম থেকে বের করে দেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে খবরের কাগজ প্রতিবেদকের কছে। অডিও ক্লিপে শোনা যায়, রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারবো না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে? এই দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না।’ এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘গেট আউট।’ কর্মচারীকে ইশারা করে বলেন, ‘ওকে (ইভান) বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পড়তে আসো এলাকায় পড়লেই তো পারতে।’ এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় প্রতিবাদ করছেন তারা। এর প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রেজিস্ট্রারের আচরণের নিন্দা জানায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়। |