শিরোনাম: |
ট্রাম্পের আহ্বানের পর পুতিনের সিদ্ধান্ত, ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের ডাক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, যারা অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করবেন, তাদের জীবন রক্ষা করা হবে এবং মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিবৃতি পর্যালোচনা করেছি। আমরা তার আহ্বানের প্রতি সহানুভূতিশীল। যারা আত্মসমর্পণ করবেন, তাদের জীবন সুরক্ষিত থাকবে।” একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনের সরকারকেও সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিতে বলেন। এই পরিস্থিতির সূত্রপাত সউদী আরবে চলা আলোচনার সময়। সেখানে কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয়। এরপরই ট্রাম্প পুতিনের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাদের জীবন রক্ষার অনুরোধ জানান। যদিও রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চূড়ান্ত মত দেয়নি, তবে পুতিন এই প্রস্তাবের প্রতি নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তিনি কুরস্কে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও স্বীকার করেছেন যে, কুরস্কে তাদের সেনারা চাপের মধ্যে রয়েছে। গত বছরের আগস্টে কিয়েভ কুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করে বড় ধরনের অভিযান চালায়। এটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় কোনো বিদেশি বাহিনীর সবচেয়ে বড় অভিযান। মস্কোও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সেই যুদ্ধ এখনো চলছে। বর্তমানে কুরস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার পাল্টা আক্রমণের ফলে ইউক্রেন বেশির ভাগ এলাকা হারিয়েছে। পুতিনের সেনারা অধিকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এতে মস্কোর ওপর কিয়েভের কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা কমে গেছে এবং শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কোন দিকে গড়াবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ এবং পুতিনের সাম্প্রতিক বার্তা যুদ্ধের গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মসমর্পণ করবে নাকি প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে, তা এখন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স |